ক্রীড়া ডেস্ক ॥ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে দলের ছিটকে পড়ার মূল দায় পড়েছিল তার কাঁধে। শুরু হয়েছিল প্রচণ্ড সমালোচনা। তবে সেসব সমালোচনা যে তিনি গায়ে মাখেন না তা পরিস্কারও করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন চ্যাম্পিয়নরা জবাব মাঠেই দেয়। হ্যাঁ জবাবটা মাঠেই দিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কাইয়ারির বিপক্ষে মাত্র ৩৩ মিনিটেই হ্যাটট্রিক করে জুভেন্টাসের জয় এনে দেন এই পর্তুগিজ যুবরাজ! প্রতিপক্ষের মাঠে রবিবার (১৪ মার্চ) রাতে সেরি আর ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে শিরোপাধারীরা। স্বাগতিকদের একমাত্র গোলটি করেন জিওভান্নি সিমেওনে। গত সপ্তাহে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে পোর্তোর বিপক্ষে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন। দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শেষ হয়ে যাওয়া দেখেন মাঠে থেকেই। তবে সেই হতাশা পেছনে ফেলে কাইয়ারির বিপক্ষে শুরু থেকে জ্বলে ওঠেন রোনালদো। ম্যাচের দশম মিনিটে ডান দিক থেকে হুয়ান কুয়াদরাদোর দারুণ কর্নারে লাফিয়ে জোরালো হেডে দলকে এগিয়ে নেন রোনালদো। ২৫তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। ডি-বক্সে তাকেই স্বাগতিক গোলরক্ষক ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সাত মিনিট পর দারুণ নৈপুণ্যে তৃতীয়বার জালে বল পাঠান রোনালদো। পাল্টা আক্রমণে বাঁ থেকে ফেদেরিকো চিয়েসার পাস পেয়ে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন পর্তুগিজ তারকা। ক্যারিয়ারে ৫৭তম হ্যাট্ট্রিক পূর্ণ হয় রোনালদোর। এক বছরেরও বেশি সময় পর হ্যাটট্রিক পেলেন রোনালদো। এর আগে শেষ হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছিলেন ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি। এই নিয়ে ঘরোয়া লিগে রোনালদোর হ্যাটট্রিক সংখ্যা দাঁড়াল ৩৭টিতে, ক্লাব ক্যারিয়ারের এই হ্যাটট্রিক সংখ্যা ৪৮টি আর জাতীয় দল ও ক্লাব ক্যারিয়ার মিলিয়ে নিজের ৫৭তম হ্যাটট্রিক এদিন পূর্ণ করলেন। গত নভেম্বরে লিগে কাইয়ারির বিপক্ষে প্রথম দেখায় তার জোড়া গোলেই ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল জুভেন্টাস। আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতার মোট গোল হলো ২৩টি। ৬১তম মিনিটে চমৎকার গোলে ব্যবধান কমান সিমেওনে। ডান দিক থেকে জাপ্পার পাস পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় জোরালো শটে বল জালে পাঠান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে নিজের চতুর্থ গোলও পেতে পারতেন রোনালদো। একমাত্র বাধা ছিলেন গোলরক্ষক। তবে তার শট দারুণ নৈপুণ্যে রুখে দেন আলেস্সিও ক্রাগনো। ২৬ ম্যাচে ১৬ জয় ও সাত ড্রয়ে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ইউভেন্তুস। ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে দুইয়ে এসি মিলান। ২৭ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ইন্টার মিলান। ২৭ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে ১৭ নম্বরে কাইয়ারি।
Leave a Reply